পিছুটান
শমীক জয় সেনগুপ্ত
***
গা বেয়ে উঠে গেলে সময় কাঁটাটা
শরীর বুঝিয়ে দেয়, সময় গিয়েছে
নিভে আসা দিবালোকে আয়ুনদী শাখামতী হয়
কাউকে লহমার শ্বাস দিয়ে গেলে
কোথাও সে ছেড়ে যায় চেনা হাড়গোড়
কয়েকটা কালিমাখা জড়ানো অক্ষর
অক্ষয় কাঁটাটির দিক ভুল করে মেঘে ঢেকে ডেকে ওঠে খেঁকুড়ে শেয়াল
অনেক তো হল তবে
এইবার চাঁদু
মানে মানে না গেছ তো আধচাঁদি দিয়ে
পাঠাবোই বাপধন ঘরের ওপারে
বেরোবার মুখটাতে খুঁটে লাগে টান
আনচান করে ওঠে স্মৃতির দলিল
তবে এই ভালবাসাবাসি এখনো শেষ রেশ ধরে রাখে বুঝি!
খুঁজি মুখ, এ ঘরেতে সব মুখ ভাবলেশহীন
তবে কে টেনেছে ভেবে তাকালে পিছনে
দেখি পেরেকে বিঁধেছে জামা লেখার টেবিলে
পেরেকটা বহু কাল ক্ষতদের আশ্রয় দিয়েছিল আমার শরীরে
টেবিলেতে মুখ খোলা পড়ে থাকা বলপেন, শুকনো রিফিল
সবার ভাষারা চুপ,
অস্বস্তি বাড়িয়ে যায় ছাড়বার দিনে না লেখা ডাইরির সাদা পাতা যত
সব যেন বোবা আর
সব ডাকে পিছু
আপশোস জাগে, বোবাদের সংকেত কেন শিখিনি সেভাবে।